কোনাবাড়ি থেকে ঘুরে এসে রিপোর্ট করছে পারুল:
৬ মাস আগেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পটপরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতা বনে যান। আর বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়েই শুরু করে দিয়েছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি।
শুধু চাঁদাবাজি করেই ক্ষান্ত নেই, আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে তথাকথিত বিএনপি’র ওই নেতার অত্যাচারে। কে ঠেকাবে এই চাঁদাবাজি ?
সকল তথ্য স্থানীয় সূত্রে থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে: আওয়ামী লীগের আমল থেকে বিতর্কীত কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তাঁর অত্যাচারে আমবাগ পশ্চিমপাড়ার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো চরমভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগের আমলেও বিভিন্ন নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তিনি মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দাতা। অর্থের বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন তিনি।
বলছিলাম, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকার আফাজউদ্দিনের ছেলে এমদাদুলের কথা।
তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছুই বুঝতেন না। তেমন পদ-পদবী না থাকলেও সরাসরি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত। বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায় এমদাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আওয়ামী লীগের পটপরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চরিত্রটা পরিবর্তন করে রাতারাতি বিএনপি নেতা বনে যান।
সম্প্রতি তারেক রহমান, জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করে ব্যানার-ফেষ্টুন দিয়ে রীতিমত বিএনপি’র নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে এমদাদ হোসেন।
বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, এমদাদুল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বুকে ধারণ করে আছে। যুবলীগ নেতা কামরুল আহসান সরকার রাসেলের একটি প্রোগ্রামে জয়-বাংলা স্লোগান দিতে দিতে সামনে বাড়াচ্ছেন।
সাবেক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি, কখনো যুবলীগ নেতা মো, কামরুল আহসান সরকার রাসেল এবং সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রোগ্রামের মিছিল মিটিং করতেও দেখা গেছে এমদাদকে। বর্তমানে তিনি খোলস পরিবর্তন করে নিজেকে বিএনপি’র নেতা দাবী করছেন। আর এ সুযোগে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
হটাৎ করে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছেড়ে এভাবে প্রকাশ্যে বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ার রহস্য উদঘাটন করতে জানা গেল, তিনি আওয়ামী লীগের আমলেও বেপরোয়া চাঁদাবাজি করতেন। সম্প্রতি বিএনপির ব্যানারে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে একটি গরু এবং একটি ছাগল কিনেছেন এমদাদ হোসেন।
জানা গেছে, ওই গরু এবং ছাগল দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষা শহীদদের অনুষ্ঠান করা হবে। এর আগেও তিনি (হ্যাপি নিউইয়ার) নতুন বছর উপলক্ষ্যে গেল জানুয়ারি মাসে বিএনপি’র ব্যানারে বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহল থেকে চাঁদাবাজি করে নাচ-গানের নর্তকী এনে আনন্দো ফুর্তি করেছেন বলে জানা গেছে।
তিন স্ত্রী নিয়ে জীবনে তেমন সুখী না হলেও মোটামুটি চাঁদাবাজির অর্থ দিয়ে তিন স্ত্রীদের সুখী রাখার চেষ্টা করেন এমদাদ। পিতা মো. আফাজ উদ্দিন ছেলের অত্যাচারে দ্বিতীয় বিয়ে করে সাভারে বসবাস করছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
বাবার এক শতাংশ জমিও কপালে জোটেনি। দাদা কিছু জমি দান করে গেছেন। বর্তমানে দাদার দানের জমিতেই তিন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন লেভাসধারী তথাকথিত ওই বিএনপি নেতা।
আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় বহিরাগত লোকজন জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করলেই এমদাদুল বাঁধা প্রদান করে। স্থানীয় সূত্রে জানায়, বহিরাগত কোনো লোকজন জমি কিনে ওই এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করতে পারে না ইমদাদের অত্যাচারে। ইট-বালু সার্ভিসের ঠিকা না দিলে চরমভাবে অত্যাচার করেন এমদাদ। এ ব্যাপারে ইমদাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কাঁকে পাওয়া যায়নি, এমন কি তাঁর মোবাইল ফোনেও না। তবে বিএনপি’র এক নেতা বলেন, আমরা তাঁকে চিনি না কে এই এমদাদ হোসেন। তিনি আরো বলেন, এমন বিতর্ক লোকের জায়গা বিএনপিতে নেই, তবে হানিফের নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, আমবাগ বাংলা লিংক টাওয়ার এলাকার সেই বিতর্কীত বিএনপি’র সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু হানিফ এর সেল্টারে এমদাদ বিএনপি বনে যান। বর্তমানে আবু হানিফের পৃষ্ঠপোষকতায় চাঁদাবাজি করা হয়, যার ভাগ হানিফ নিজেও পায় বলে সূত্রে জানায়।
কে এই আবু হানিফ? কোনাবাড়ি আমবাগ বাংলালিং টাওয়ার এলাকার জামাল-হানিফ দুই ভাই। দুই ভাই পেশায় পুলিশের সোর্স। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই দুই ভাইয়ের কর্মকান্ড ছিল বিতর্ক ও নোংরামী। দুই ভাই মিলে পুরো আমবাগ এলাকায় পুলিশ দিয়ে চরম অশান্তি আর আতঙ্ক সৃষ্টি করে তুলতো। বিএনপি’র রাজনীতি করেও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ক্ষতি করতো পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিতো। তাঁরা দুই ভাই চরম ক্ষমতার প্রয়োগ করতো পুলিশ বাহিনী দিয়ে সিন্টিকেট গড়ে তুলতো তাঁরা, করতো অবৈধ বাসা-বাড়ির গ্যাস বাণিজ্য।
বিষেশ করে গেল ১৫ বছরে তাঁরা (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেছে করেছে এবং খুঁজে খুঁজে নিরীহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে পুলিশ পঠিয়ে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি করতো হানিফ-জামাল। সেই হানিফের মাধ্যমে আমবাগ পশ্চিমপাড়ার ইমদাদ একই কায়দায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে, আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি বানে গেছে।
দিব্যি বিএনপির দুইজন নেতার সাথে মিশে নানা অত্যাচার আর চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়েছে এমদাদ হোসেন। আরো জানা গেছে, আমবাগ পূর্বপাড়া এলাকার এক সেচ্ছাসেবক দল নেতাও এমদাদ সেল্টার দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বিস্তারিত আরো আসছে।