গাজীপুর সংবাদদাতা:
গাজীপুরে আমেরিকা-জাপানের যৌথ বিনিয়োগে একটি এআই বেস আইটি পার্ক ও একটি এগ্রো প্রজেক্ট নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে বিপুল কর্মসংস্থান হওয়ার দুটি প্রকল্প শুরুতেই হোঁছট খেতে বসেছে। এর মাধ্যমে সরকারের নেওয়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশের ভিতরে বিনিয়োগ করার প্রজেক্টে বাধা প্রদান করে দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের কর্ণধার ডঃ ইমাম ইউএসএ থেকে ব্যবসা করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসেন। গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় তাঁর পূর্বের ক্রয় কৃত জমির উপর ইউএসএ-জাপান যৌথ বিনিয়োগে এআই বেস আইটি পার্ক তৈরি করার উদ্দেশ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রজেকশন ডিজাইন কমপ্লিট করে ফেলেছেন।
তাঁর এ কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন জনৈক ড. সামনুন তাহা নামক এক ব্যক্তি। যিনি সরকারের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন। চলমান এই ইউএসএ-জাপান জয়েন ভেঞ্চার প্রজেক্টটিকে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে, সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছিল যে বিদেশি ইনভেস্টরদের বাংলাদেশে ইনভেস্ট করার সুযোগ তৈরি করে দেশের অর্থনীতি উন্নত করবেন এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করবেন।
ড. সামনুন তাহা স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহলকে সঙ্গে নিয়ে এত বড় একটা সুযোগ বাধাগ্রস্থ করছেন। প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়সহসহ নানা স্থানে নামে বেনামে মিথ্যা অভিযোগ এনে প্রকল্পের কাজে বাধা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রকল্পটির চিফ এডমেনিস্টিটিভ অফিসার মেজর (অবঃ) মোঃ জিয়াউল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিট পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কারো কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এটি হবে পরিবেশ বান্ধব এবং আন্তর্জাতিকমানের। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।
প্রকল্পের সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম মন্ডল অভিযোগ করেন, প্রকল্পে বাধা দিয়ে সরকারের নেওয়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশের ভিতরে বিনিয়োগের প্রজেক্টে বাধা প্রদান করে দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতি এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শুধু এটা নয় এর মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরনের ষড়যন্ত্র এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
তিনি আরো বলেন, গাছার পলাশোনা এলাকায় আইটি পার্ক করার উদ্দেশ্যে আরো কিছু জমি ক্রয় করার জন্য কিছু জমির মালিকদের অগ্রিম টাকা প্রদান করেছেন এখন এই সমস্ত জমি বিক্রেতাদের সামনুন তাহা এবং জনৈক লিটন নামের এক ব্যক্তি নানাভাবে ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন এবং জমি বিক্রিতে বাধা দিচ্ছেন।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপরাধ, অবৈধ দখলচেষ্টা, নাশকতা, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে অবিলম্বে তদন্ত কার্যক্রম গ্রহণ এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ড. হাসান তাহের ইমামের বৈধ মালিকানাধীন জমি, সীমানা প্রাচীর ও চলমান উন্নয়নমূলক-কৃষি প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পুলিশি সুরক্ষা, নিয়মিত টহল ও নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং আমাদের উপর অহেতুক হয়রানি যেন বন্ধ হয় তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ড. সামনুন তাহা তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, ওখানে আমার পৈত্রিক জমি রয়েছে। আমি কাউকে হয়রাণী ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছিনা। বরং অভিযোগ কারীরাই আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।