গাজীপুর সংবাদদাতা:
গাজীপুরে এবার রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট নামে একটি রিসোর্ট দখল নিতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোর পাওয়া গেছে।
হামলাকারীরা রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে প্রবেশ করে রিসোর্টের প্রশাসনিক ভবন ও রিসিপশন এলাকায় কর্মরত সকল কর্মচারীকে জোরপূর্বক রিসোর্ট হতে বের করে দেয়। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
গেল রবিবার বিকালে গাজীপুর সদর উপজেলার পিঙ্গাইল এলাকায় রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিসোর্টের কো-অপারেশন এন্ড এনডিমন এস. এ. এম রাকু দেওয়ান অভিযোগে জানান, আজিজুর রহমান শিমুল, এস. এ. এম শফিকুর রহমান ও আখতার হোসেন সাদ্দামসহ তাঁর সহযোগীরা গেল ২রা অক্টোবার জোরপূর্বক রিসোর্টে প্রবেশ করে। এরপর তাঁরা রিসোর্ট দখল নিতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এক প্রকার তাঁরা রিসোর্টের কর্মচারিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক রিসোর্ট থেকে বের করে দেয়।
তাঁদের হামলায় অভিযোগকারী সহ কয়েকন আহত হন। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে বলেন, রিসোর্টটি দখল নিতে একটি চক্র জাল চুক্তিনামা তৈরী করে তা দেখিয়ে মালিকানা দাবি করেন। পরে আদালতে মামলা করা হলে পিবিআই ওই চুক্তিটি জাল বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। চুক্তিনামায় মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষরও রয়েছে বলে পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের উল্লেখ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে উঠা রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টটি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে গাজীপুর মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ডের টেক কাথোরা এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় রিভেরি নামের একটি রিসোর্ট বন্ধ হরে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। বিএনপি নেতা মোঃ রাসেল রানা রিসোর্টটির প্রধান ফটকের সামনে বালি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আজিজুর রহমান শিমুল বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন। আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর প্রতিটির জবাব আমাদের কাছে আছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ বলেন, রিসোর্টে হামলা ভাঙচুর করা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।