স্টাফ রিপোর্টার: সংগঠন বিরোধী এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন মিয়াকে কোনাবাড়ি মেট্রো থানার বিএনপি’র সদস্যপদ ও ৭নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি পদসহ বিএনপি’র সকল পদ থেকে তাঁকে স্থাীয়ভাবে বহিস্কার করা হলো।
সংবাদ প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
এ আদেশ আজ ৬-জুলাই ২০২৫ইং তারিখে কোনাবাড়ি মেট্রো থানা বিএনপি’র সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেনের এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিস্কৃত নেতা মো. সালাউদ্দিন মিয়ার অপকর্মের কোনো দায়-দায়িত্ব দল নিবে না। সেই সঙ্গে বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদেরকে তাঁর (সালাদ্দিনের) এর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
কোনাবাড়ি মেট্রো থানা বিএনপি’র সভাপতি মো. উদ্রিস আলী সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
প্রসঙ্গ: গেল ২৭-মে রাত ১২টার দিকে সালাউদ্দিন মিয়া ও আসিফ সালিমসহ ১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বিএনপি’র দাপট দেখিয়ে পূর্ব শক্রুতার জেরে নগরীর কোনাবাড়ি জরুন এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত¦, দানশীল ও সমাজ সেবক নাসিরউদ্দিন পালোয়ানের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এ হামলায় নাসিরউদ্দিন পালোয়ানসহ তাঁর বড় ছেলে আক্তার পালোয়ান, লুৎফর পালোয়ান, ছোট ছেলে শাহ আলম পালোয়ান, নাতিন শারমিন, নাতি শাহরিয়াসহ পরিবারের ৮জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী আঘাত করা হয়।
একটি ভিডিও ফুটেজে তা দেখা যায়।
হামলায় নাসিরউদ্দিন পালোয়ানের মাথার খুলি উঠে মগজ বের হলে গুরুত্বর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে ভর্তি করেন।
তাজউদ্দিন আহমেদের মেডিকেলের চিকিৎসক নাসিরউদ্দিন পালোয়ানের অবস্থার অবন্নতি দেখে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে তাঁর ছেলেরা উত্তরা শিব ইন্টারন্যাশনাল হসপিতালে ভর্তি করেন।
ভর্তির পর দীর্ঘ লাইফ সাপোর্টে এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ শেষে ২রা জুলাই বুধবার রাত ১১টার দিকে নাসিরউদ্দিন পালোয়ানের মৃত্যু হয়।
কে এই সালাউদ্দিন মিয় ? কোনাবাড়ি থানাধীন জরুন এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জমিদখলকারী, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ী, কল-কারখানা দখলসহ নানা অপরাধে অপরাধী।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর তিনি বিগত ১১ মাস ধরে জরুন এলাকার নিরীহ মানুষকে অতিষ্ঠিত করে তুলেছে বলে একাধিক সূত্রে জানায়।
মাত্র ১১ মাসে চাঁদাবাজি করে প্রায় কোটি টাকার মালিক বনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। তিনি মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। বিএনপি’র দাপটে যাকে তাকেই হুমকী ধামকী দিয়ে বেড়াতেন এই সালাউদ্দিন।