স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরের কোনাবাড়ি নছের মার্কেট পল্লীবিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রে (অভিযোগ কেন্দ্র) এর ইনর্চাজ মো. আসাদুজ্জামান আসাদ এবং লাইনম্যান মো. মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তাঁরা দুইজন দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ আমবাগসহ নছেরমার্কেট এলাকার অটো-রিকশার গ্যারেজ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্যারেজ বন্ধ করে দেয়ার বিভিন্ন অছিলায় মাসে মাসে ১০ হাজার আবার কোনো গ্যারেজ থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা ঘুষ নিতেন।
গেল-ডিসেম্বর মাসে ইনচার্জ আসাদুজ্জামান (আসাদ) বদলি হয়ে গাজীপুরের বালিগঞ্জে জোনে চলে গেলে মাসিক ওই ঘুষের টাকা বন্ধ করে দেয় অটোরিকশার মালিকরা। আর এতেই লাইন ম্যান মুক্তার ক্ষুব্ধ হয়ে বেশ কয়েকটি অটোরিকশার গ্যারেজে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালান এবং মিটার খুলে নিয়ে যান বলে জানায়।
আদিল বলেন, বিগত দুই বছর যাবৎ আমি মুক্তারকে দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা না দিলে প্রতি মাসে এসে তাঁরা চরমভাবে সমস্যা সৃষ্টি করতো এবং লাইন কেটে দেয়ার ভয় দেখানো হতো।
এ ব্যাপারে লাইন ম্যান মো. মুক্তার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে নারাজ হন এবং সরাসরি দেখা করে কথা বলতে চান। তবে সাবেক ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ ফোন রিসিভ করনেনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গেল দুই বছর যাবৎ গ্যারেজ বন্ধ করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মো. আদিলের অটোরিকশার গ্যারেজ থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে টাকা ঘুষ নেয় মুক্তার ও আসাদ।
অভিযোগে আরো জানায়, গ্যারেজ ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ওভারলোড দেখিয়ে কোনাবাড়ি জোনাল অফিসের আওতাধীন নছের মার্কেট অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান আসাদ এবং লাইন ম্যান মো. মুক্তার হোসেন মিলে প্রতি মাসে আদিলসহ অন্যান্য গ্যারেজ থেকে ১০ হাজার করে টাকা ঘুষ নিতেন।
অতিরিক্ত ওভারলোড চার্জ দেখিয়ে দুই বছরে তাঁরা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন আদিল। গেল ডিসেম্বর মাসের ঘুষের টাকা পরিশোধ না করায় লাইন ম্যান মুক্তার বিদ্যুৎ লাইনসহ মিটার বিচ্ছিন্ন করার হুমকী প্রদান করেন।
এরপর আদিল বিষয়টি কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের গিয়ে জানালে আদিলের নামে প্রতিমাসে ১০ হাজার করে টাকা জমা হওয়ার কথা অস্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ জানান।
ওভার লোডের অছিলা খুঁজে মুক্তার এবং আসাদুজ্জামান দুই লাখ টাকা দাবী করেছিলেন। এরপর তাঁরা ১০ হাজার করে টাকা দিলে গ্যারেজ চালানো যাবে বলে জানায়। অতপরঃ বিগত দুই বছর যাবৎ ১০ হাজার করে টাকা দিয়ে গ্যারেজে চালাতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. কামাল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে একজন লোক মৌখিক অভিযোগ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।