সিলেট সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জে বিএনপি নেতার ইন্দনে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ
উঠেছে।
আহত সাংবাদিকের নাম আল আমিন আহমদ সালমান। তিনি দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার মধ্যনগর উপজেলার সংবাদদাতা। অপর আহত সাংবাদিকের নাম অনুপ তালুকদার অভি। তিনি দৈনিক সোনালী কন্ঠ পত্রিকার মধ্যনগর উপজেলার সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মধ্যনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বাপ্পী হাসান ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান উদ্দিন সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় এবং মারপিট করে ।
আহত সাংবাদিক আল আমিন আহমেদ সালমানকে গেল বৃহস্পতিবার ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ও আহত সাংবাদিক সূত্রে জানায়, গেল বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্যনগর মধ্যবাজারের একটি চায়ের দোকনে উপজেলা বিএনপির দু’নেতা, স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিক ও অন্যদের সঙ্গে বসে চা পান করছিলেন।
পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মধ্যনগরের সীমান্ত চোরাচালান সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ওই সময়ে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক বাপ্পী হাসান ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রায়হান উদ্দিন চা ষ্টলে গিয়ে সাংবাদিক আল আমিন আহমেদ সালমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোঁরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো নিউজ করলে প্যান্ট খুইলা বাইরাইয়াম (লাটিপেটা)। সাংবাদিক আল আমিন এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে বাপ্পী হাসান ও রায়হান উদ্দিন দুজনেই সাংবাদিক আল আমিনের মুখ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও চর থাপ্পর লাথি মারতে থাকেন। একই ভাবে সাংবাদিক অনুপ তালুকদার অভিকেও তাঁরা মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান সাংবাদিকদেরকে মারধর ও হামলার সময় চা স্টলে পূর্ব থেকেই বসা ছিলেন মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল হামিদ তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইযূম মজনু, স্থানীয় একজন প্রবীণ সাংবাদিক সহ আরো ক’জন।
শুক্রবার স্থানীয় ভাবে ও মধ্যনগর বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগোযোগ করে জানা গেছে, বাপ্পী হাসান ও রায়হান উদ্দিন দুজনই উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক , সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূম মজনুর একান্ত অনুগত, লালিত ক্যাডার ।
এ ঘটনায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আব্দুল কাইয়ুম মজনুর ইন্দন রয়েছে বলে মনে করেছেন অধিকাংশ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
কালের কন্ঠের মধ্যনগর প্রতিনিধি আল আমিন আহমেদ সালমান জানান, গেল ৯ অক্টোবর কালের কন্ঠ পত্রিকায় মধ্যনগরে বেপরোয়া চোরাচালান চক্রের সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই সীমান্ত চোরাকারবারে জড়িত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতা কর্মীরা আমার উপর ও ওই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক অনুপ তালুকদার অভির উপরও ক্ষুদ্ধ হন। মূলত সংবাদ প্রকাশের জের ধরেই আমাদের উপর হামলা ও মারপিট করা হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ূম মজনু সাংবাদিকদের মারধর, হামলার ঘটনায় নিজের ইন্দন নেই দাবি করলেও ওই সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি দাবি করেন হামলাকারীরা তার অনুগত, লালিত সন্ত্রাসী নয়।