সিলেট সংবাদদাতা:
সিলেট সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শফিক আলম শাহ (৪৩) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা রুজু না হয়ে রহস্যজনক কারণে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ৬ জনের নামে মামলা হয়েছে।
নিহত শফিকের ভাই জহুর আলম শাহ বাদী হয়ে গেল বুধবার ৬ জনের নামে তাহিরপুর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছেন।
তবে ঘটনাটি পাওনা দেড় হাজার টাকার কারণে বেধড়কভাবে পেটানোর দায়ে শফিক আলম শাহ্ মারা যায়। পরে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা বলে চালিয়ে দেয় তাহিরপুর থানা।
এ মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের হাওড় তীরবর্তী বালিয়াঘাট গ্রামের আমির আলীর শাহর ছেলে সাকু মিয়া শাহ, একই গ্রামের নওশাদ মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া, মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে হাবলু মিয়া, আফতাব আলীর ছেলে ওয়াসিম, মৃত আব্দুর রউফের ছেলে তৈাহিদ নুর। এ মামলায় অভিযুক্তদের কাউকেই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি তাহিরপুর থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গ, অভাবের তাড়নায় উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের আমির আলী শাহর ছেলে সাকু শাহর কাছ থেকে কয়েক দিন পূর্বে দেড় হাজার টাকা ধার নেন শফিক আলম শাহ। সাকু শাহ হলেন শফিক আলমের চাচাতো ভাই। পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য গেল সোমবার রাতে শফিক আলমের ওপর চাপ দেয়। এক পর্যায়ে পাড়াপ্রতিবেশীদের সামনেই শারীরিকভাবে শফিক আলমকে চাচাতো ভাই সাকু শাহ, তাঁর পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা বেধড়কভাবে পিটিয়ে লাঞ্ছিত করেন।
এ অপমান সইতে না পেরে সোমবার রাত ৯টার েিক পরিবারের সবার অগোচরে নিজ ঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন শফিক আলম শাহ।
পরদিন গেল মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
মৃতের বড় ভাই মামলার বাদী জহুর আলম শাহ বলেন, পাওনা টাকার অজুহাতে সাকু শাহ, তার পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা ১০-১৫ জন বাড়ির উঠানে ফেলে আমার ভাইকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে নাটক সাজায়।
মামলার বাদী জহুর আলম শাহ আরও বলেন, আমরা গরীব মানুষ, আইনের এত মাইরপ্যাঁচ বুঝি না বলেই থানা পুলিশ নুরুল আমিনসহ অন্যদের আসামি করতে বাধা দিয়েছে। বেশি আসামি দিলে না কিতা মামলা নষ্ট (বাদ) হইয়া যাইব গা বলে বুঝাইছে আমরারে থানা পুলিশ। অখন (এখন) আসামিও ধরে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।