বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি

শেয়ার করুনঃ

সূত্র, আনন্দবাজার: বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নেতা তথা সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে একাংশ উত্তাল। তাঁর মাঝেই নতুন করে আরও দু’জন সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়, ওই দু’জন সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

চট্রগ্রামের নতুন করে ধৃত দুই সন্ন্যাসী হলেন রুদ্রপ্রতি কেশব দাস এবং রঙ্গনাথ শ্যামসুন্দর দাস। তাঁরা সংখ্যালঘু সংগঠন প্রবর্তক সঙ্ঘের সদস্য।

তাঁরা চট্রগ্রামের জেলে চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। চিন্ময়কৃষ্ণকে খাবার, ওষুধ এবং কিছু টাকা দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা।

রাতে সেখান থেকে ফেরার পথে তাঁদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। প্রবর্তক সঙ্ঘের প্রিন্সিপাল স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস বলেন, জেলে চিন্ময়কৃষ্ণকে খাবার দিতে গিয়ে আমাদের দু’জন সদস্যদের নতুন করে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওদের ভয়েস মেসেজ থেকেই এই তথ্য জানতে পেরেছি আমি। ওরা জানিয়েছে, কোতোয়ালি থানায় তাঁদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসকন কলকাতার মুখপাত্র রাধারমণ দাস শনিবার রাতে দাবি করেছিলেন, চিন্ময়কৃষ্ণের পর বাংলাদেশে আরও এক সংখ্যালঘু সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্যাম দাসের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘চট্টাম পুলিশ আর এক ব্রহ্মচারী শ্যাম দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি কি সন্ত্রাসী? নির্দোষদেও গ্রেপ্তারের ইসকন গভীর ভাবে মর্মাহত।’’ পরে বাংলাদেশ পুলিশ জানায় এক জন নয়, শনিবার রাতে দুই সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে, স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

গেল ৫ অগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংখ্যালঘুদের অধিকারের দাবিতে কথা বলতেন চিন্ময়কৃষ্ণ। একটি সমাবেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গত সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। খারিজ হয়ে যায় জামিনের আবেদনও। তাঁর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম এবং রংপুরে সংখ্যালঘুরা পথে নেমেছেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয় মঙ্গলবার। তাঁর পর থেকে উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে মামলা হয় হাই কোর্টে।

সেই মামলায় বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করে। যদিও ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। কলকাতার রাস্তায় গত কয়েক দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ।

 

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১