এম রানা:
অবসর প্রাপ্ত অপরাধ তদন্ত গোয়েন্দা বিভাগের (সিআইডি)’র কর্মকর্তা সাবেক ডিআইজি শেখ হিমায়েত মিয়ার অবৈধ অর্থ দ্বারা উপার্জনের ৩১৯.০৯ শতাংশ জমি অতি গোপনে বিক্রয় করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি বাঘিয়ার চকে, বাঘিয়া মৌজায় অবস্থতি ৩১৯.০৯ শতাংশ জমি বিক্রয় করা হয়।
দুদকের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক প্রকার অতি গোপনে দালালের মাধ্যমে নগরীর কোনাবাড়ি বাঘিয়া এলাকার জনৈক ব্যক্তির কাছে এই জমি বায়না করা হয়।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর রয়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। তিনি কোনাবাড়ি হরিণাচালা এলাকাতেও ১নং খাস খতিয়ান জমি দখল করে সেখানে একটি টিনসেট বাড়ি করেছেন।
কে এই ডিআইজি শেখ হেমায়েত মিয়া? তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তা এবং অপরাধ তদন্ত (সিআইড) বিভাগের সাবেক প্রধান।
এর আগে, তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রারম্ভিক জীবন হেমায়েত মিয়া বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা।
কর্মজীবন ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ থেকে ১৬ মে ২০০১ পর্যন্ত হেমায়েত মিয়া খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন।
২০০১ সালে, তিনি ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন । এরপর তাঁকে ২০০৪ সালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি করা হয়।
১৫ জানুয়ারি ২০১৫-এ, হেমায়েত মিয়াকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করা হয়। তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাবেক এই ডিআইজি হেমায়েত ২০১৯ সালের মে মাসে অবসর নেন।
জানা গেছে, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বাঘিয়া চকে রয়েছে ১০ বিঘারও বেশি সম্পদ। যা বিক্রির জন্য বায়না করা হয়েছে।
গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার কয়েক দিন পরেই হেমায়েত মিয়া ওই জমি বিক্রির জন্য সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। একটি সূত্র জানায়, বাঘিয়ার জনৈক ব্যক্তির কাছে কয়েক কোটি টাকায় বিক্রির জন্য বায়না করা হয়েছে। তবে দুদক বলছেন বিষয়টি তাদের জানা নেই, তদন্ত করে দেখতে হবে।
বিস্তারিত আসছে।